SIM Card Rules: ভারতে সিম কার্ড জালিয়াতি ও সাইবার প্রতারণা রোধে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে টেলিযোগাযোগ বিভাগ। সম্প্রতি, টেলিকম সেক্টরে KYC (Know Your Customer) বাধ্যতামূলক করার পাশাপাশি সিম কার্ড ইস্যু নীতিতে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। এর মূল লক্ষ্য হলো সাইবার অপরাধ প্রতিরোধ, যাতে ভুয়া পরিচয় ব্যবহার করে প্রতারণার ঘটনা রোধ করা যায়।
সাইবার অপরাধ ও প্রতারণার নতুন কৌশল
সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে দেখা গেছে, অপরাধীরা সিম কার্ড ও অন্যান্য টেলিযোগাযোগ শনাক্তকারী (SMS হেডার, IP অ্যাড্রেস, IMEI নম্বর) পরিবর্তন করে সাধারণ নাগরিকদের সঙ্গে প্রতারণা করছে। বিশেষত, ছদ্মবেশ ধারণ করে বা জাল নথি ব্যবহার করে সিম কার্ড সংগ্রহ করে সাইবার অপরাধ সংঘটিত করা হচ্ছে।
টেলিকম সেক্টরে জালিয়াতির বিস্তার
- ভুয়া সিম কার্ড ব্যবহার – কিছু ব্যক্তি নিজেদের নামে একাধিক সিম কার্ড সংগ্রহ করে তা অপরাধীদের কাছে হস্তান্তর করছে, যা সাইবার অপরাধ বৃদ্ধির অন্যতম কারণ।
- জাল নথির মাধ্যমে সিম কার্ড সংগ্রহ – অপরাধীরা জাল কাগজপত্র বা পরিচয়পত্র ব্যবহার করে অবৈধভাবে সিম কার্ড ইস্যু করছে।
- টেলিকম এজেন্টদের অসদুপায় অবলম্বন – অনেক ক্ষেত্রে টেলিকম কোম্পানির এজেন্টরাও অবৈধভাবে সিম কার্ড বিক্রির সঙ্গে জড়িত, যা প্রতারণার সুযোগ সৃষ্টি করছে।
আইন ও শাস্তির বিধান
টেলিযোগাযোগ আইন, ২০২৩ অনুযায়ী, এই ধরনের অপরাধ গুরুতর লঙ্ঘন হিসাবে বিবেচিত। বিশেষ কিছু ধারা অনুযায়ী,
- ধারা ৪২ (৩) (c) – টেলিযোগাযোগ শনাক্তকারীর অবৈধ হস্তক্ষেপ নিষিদ্ধ।
- ধারা ৪২ (৩) (e) – প্রতারণামূলক উপায়ে সিম কার্ড বা টেলিযোগাযোগ শনাক্তকারী সংগ্রহ করা দণ্ডনীয় অপরাধ।
- ধারা ৪২ (৭) – এ ধরনের অপরাধ আমলযোগ্য ও জামিন অযোগ্য, যা ১৯৭৩ সালের ফৌজদারি কার্যবিধি অনুসারে শাস্তিযোগ্য।
প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা ও KYC বাধ্যতামূলক
টেলিকম বিভাগ সিম কার্ড জালিয়াতি রোধে KYC বাধ্যতামূলক করেছে, যা প্রতিটি সিম কার্ড ব্যবহারকারীর বৈধতা নিশ্চিত করবে। ডিজিটাল ভেরিফিকেশন পদ্ধতি চালুর মাধ্যমে ফেক KYC বা জালিয়াতি প্রতিরোধে কঠোর পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।
ভারতে সাইবার অপরাধ ও সিম কার্ড জালিয়াতি রুখতে সরকার টেলিযোগাযোগ আইন আরও কঠোর করছে। সিম কার্ড ক্রয়ের সময় সঠিক তথ্য প্রদান ও KYC প্রক্রিয়া অনুসরণ করা অপরিহার্য। অন্যথায়, আইন লঙ্ঘনের দায়ে কড়া শাস্তির মুখে পড়তে হতে পারে। সতর্ক থাকুন, সাইবার প্রতারণা এড়ান!